আজকে লইট্টা শুঁটকির উপকারিতা এবং রান্না নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
শুটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে অবশ্য তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুটকি মাছের গুণাগুণ অনেক বেশি।
কড়া রোদে শুকানোর ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায় যা দাঁত ,হাড় ও নখের গঠন মজবুত করার জন্য অপরিহার্য।
লইট্টা মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তাল্পতার মোকাবিলা করে।
ক্লান্তি ,দুর্বলতা ,মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ,চোখের নিচে কালচে ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই শুঁটকি।
তবে তাজা লইট্টা মাছ দিয়ে ঝুরি ,চাপ, ভুনা পাতুরি, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন সুস্বাদু সব রেসিপি বানানো হয় যা একবার খেলে ভুলবেন না আপনি।
। মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের সাহায্য করে এটি।
তাছাড়া আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় থাইরয়েড রোগীর জন্য এই মাছ খাওয়া উচিত। তাজা ও শুটকি দুই ধরনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক মৌল উপাদান থাকায় অস্টিওপোরোসিস ও আর্থারাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে।
কিভাবে শুটকি মাছ খাওয়া হয়?
শুটকি মাছ অনেকভাবেই খাওয়া যায়। যেমন:
👉রান্না করে
👉ভর্তা করে
👉বিভিন্ন তরকারীর সাথে শুটকি মাছ খাওয়া যায়।
তবে গ্রামে শুটকি মাছের ভর্তা করে খাওয়াই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। শহরে অনেকেই শুটকি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করেন যেগুলো অনেক সুস্বাদু।
যেমনঃ মসুরের ডালের সাথে কাচকি শুটকির চচ্চড়ি, চ্যাপা শুটকির বাগার ভর্তা, নুনাঝুরি,লইট্টা শুটকি ভুনা ইত্যাদি।
যারা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন তারা শুটকি মাছ খেতে পারেন। তাতে শরীরের ক্যালরির চাহিদা পূর্ন হবে ও শরীর কর্মক্ষম থাকবে।
আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে লবণ, কীটনাশক ও ধুলাবালি মুক্ত সম্পুর্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি উৎপাদন করি। আমাদের উৎপাদিত শুঁটকি ভ্যাকুয়াম মেশিনের মাধ্যমে প্যাকেজিং করা হয় তাই, এটি আরো বেশী নিরাপদ।