লইট্টা মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে। ছোট-মাঝারি বা বড় আকারের লইট্টা মাছ পাওয়া যায়।
লইট্টা মাছ আমরা দুইভাবে খেতে পারি। একটি হচ্ছে কাঁচা, যেটা সমুদ্র থেকে তুলে একেবারে তরতাজা খাওয়া হয়। আরেকটা হচ্ছে সমুদ্রের তীরে প্রচুর রোদের মধ্যে শুকিয়ে মাছকে একেবারে শুকনো করে খাওয়া যায়। আজকে আপনাদের তাজা লইট্টা মাছ এবং শুকনো লইট্টা মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানাব।
রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে তাজা লইট্টা মাছ অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কারণ, লইট্টা মাছের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। তাই যাদের শরীরে রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়, চিকিৎসকরা তাদের বেশি করে লইট্টা মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাজা লইট্টা মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, থাকায় এটি আমাদের শরীরের অলসতা, ক্লান্তিভাব এবং স্থিতিশক্তি হ্রাস হওয়া থেকে দূরে রাখে। যাদের থাইরয়েডজনিত সমস্যা রয়েছে, তারা অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই লইট্টা মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাজা লইট্টা মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকায় থাইরয়েডজনিত সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখে।
উপকারের কথা বলতে গেলে তাজা লইট্টা মাছের চেয়ে শুকনো লইট্টা মাছের উপকারিতা বেশি। কারণ, তাজা লইট্টা মাছ যখন প্রচণ্ড রোদের তাপে শুকনো করা হয়, তখন তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ উৎপাদিত হয়, যা আমাদের শরীরের হাড়ের অস্টিওপরোসিস সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখতে কাজ করে। পাশাপাশি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাব পূরণ করে।
তাজা লইট্টা মাছের মধ্যে প্রোটিন থাকে। কিন্তু যখন আমরা তাজা লইট্টা মাছ রোদের তাপে শুকিয়ে ফেলি, তখন প্রোটিনের পরিমাণ আরও বেশি বেড়ে যায়। তাই তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুকনো লইট্টা মাছ আমাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সবশেষে বলা যায়, লইট্টা মাছ তাজা হোক আর শুকনো হোক, দুইভাবেই এটি আমাদের শরীরে অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। তাই সময় এবং সুযোগ পেলেই আমরা লইট্টা মাছ খাবারের তালিকায় রাখতে যেন না ভুলি। সূত্র : ওয়েবসাইট
No review given yet!